দেশের প্রথম মেট্রোরেল

রাজধানীর  যানযট নিরসনে উড়ালপথ,বাসের বিশেষ লেন নিরমাণসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।তবে আধুনিক নগর পরিকল্পনায় ও গণপরিবহনের সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে দেখা হয় মেট্রোরেলকে।যানযট নিরসন,বিপুল সংখ্যায় যাত্রী দ্রুত পরিবহনের জন্য উন্নত বিশ্বে মেট্রোরেল নিরমাণের পরিকল্পনা নিয়েছে।

আর তাই বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালে ঢাকার জন্য ২০ বছরের কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা(এসটিপি) অনুমোদন করে।এতে যানযট নিরসনে ২০২৪ সালের মধ্যে একাধিক মেট্রোরেলসহ নানান প্রকল্প বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়।


২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায় এসে মেট্রোরেল নিরমাণের উদ্যোগ নেন।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অধিনে গঠন করা হয় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি।



২০১৫ সালে জাপানের সহায়তায় এসটিপি সংশোধন করে আরএসটিপি করে মেট্রোরেলের রুট সংখ্যা বাড়ানো হয়।



মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে লাগবে ৩৮ মিনিট।ঘন্টায় দুই দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।





এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা।এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা।বাকিটা বাংলাদেশ সরকার বহন করছে।



এই প্রকল্প ২০১২ সালের ডিসেম্বর একনেকে অনুমদিত হয়।২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাইকার সাথে  ঋণচুক্তি হয়।প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত।



উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশন হবে ১৬ টি।শুরুতে ২৪ টি ট্রেন দিয়ে মেট্রোরেল চালু করার কথা রয়েছে।প্রতিটি ট্রেনে প্রাথমিকভাবে ছয়টি করে বগি থাকবে পরে তা আটটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে।

হিসাব অনুযায়ী,শুরুতে দিনে ৪ লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।২০৩৫ সালে যাত্রী বেড়ে দাঁড়াবে ১৮ লাখের বেশি।


উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপো এলাকায় ভুমি উন্নয়নের কাজটি করেছে জাপানের টোকিও কন্সট্রাকশন কোম্পানি।




আর ডিপোর অবকাঠামো নির্মাণের ঠিকাদার দেয়া হয়েছে থাইল্যান্ড ভিত্তিক ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ও চীনের সিনো হাইড্রো।

সামগ্রিক প্রকল্পটির অগ্রগতি ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।২০ দশমিক ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এখন পর্যন্ত পাচ দশমিক নয় কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।

উত্তরার তৃতীয় পরযায় থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকা খরচে একটি উড়াল রেললাইন তৈরির এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।এটি হলে প্রতি ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে  মেট্রোরেল।

২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটি প্রথম পরযায়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এই প্রকল্পের কাজ একটু থমকে যায় তবুও প্রকল্পটির পাচ দশমিক শুন্য তিন শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

  কেস স্টাডি:বিবিসি বিবিসি অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই অনলাইন সাংবাদিকতা    সম্পর্কে    জানতে হবে।     অনলাইন ...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.