প্রথমবারের মত নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল
চট্টগ্রামের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত কর্ণফুলী নদী।তাই এই নদীর তলদেশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য টানেল নিরমাণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৩ দশমিক ৪কিলোমিটার লম্বা এ টানেল নিরমাণে খরচ ১০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
কন্সট্রাকশন অব মাল্টি লেন রোড টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলী এই প্রকল্পের নাম।
টানেলটি চট্টগ্রাম শহরের বন্দর এলাকা ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে।অর্থাৎ টানেলের এক পাড়ে থাকবে বন্দর এলাকা,অন্য পাড়ে আনোয়ারা উপজেলা।
এ প্রকল্পের খরচ ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দেবে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি।আর বাংলাদেশ সরকার দেবে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।
কর্ণফুলীর পানি প্রবাহের ১৫০ ফুট নিচ দিয়ে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এই টানেল। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামে 'ওয়ান সিটি টু টাউন' ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।এ ছাড়া টানেলটি হলে কর্ণফুলী নদীর ওপর তৈরি দুটি সেতুর উপর যান চলাচলের চাপ কমবে।এ টানেলটি তৈরি হলে আউটার রিংরোড হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম,মহাসড়কের যানবাহন মূল শহর এগিয়ে কক্সবাজার সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাতায়াত করতে পারবে।দূরত্ব কমবে ৩৫ কিলোমিটার।আউটার রিংরোড কাজ চলছে পুরোদমে।এটি নিমিত হচ্ছে উপকূলীয় বাধের ওপর।এটা হবে একই সঙ্গে 'এম ব্যাংকমেন্ট কাম হাইওয়ে-বাধ ও মহাসড়ক।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ,চায়না কমিনিউকেশনেস কন্সট্রুকসন কোম্পানি ও অভি অরুপ অ্যান্ড পাটনারস হংকং লিমিটেড।
২০০৮ সালে চট্টগ্রামে লালদিঘীর মাঠে নির্বাচনী জনসভায় কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নিরমাণের প্রতিস্রুতি দিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এই প্রতিস্রুতি কতটা কল্পনাবিলাসী এবং কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে নানা কথা ছিল কিন্তু এখন এই কল্পনাবিলাসী বস্তু বাস্তব রুপান্তর নিতে যাচ্ছে।কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৬১ শতাংশ শেষ এখন।২০২২ সালের মধ্যে টানেলের কাজ সম্পুর্ন হয়ে যাবে।